খবর৭১ঃ
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ৪ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার নায়েকপুর ও বাঁশরী গ্রামবাসীর মধ্যে বাশরী ঘরই খালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৪ ঘণ্টা চলমান এই সংঘর্ষে দু-পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে বলে নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান নিশ্চত করেছেন।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান আহত হয়েছেন। আহত শরীফের অবস্থা আশষ্কা জনক থাকায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মোতাহার হোসেন টিটু, নয়ন, সুমন, আরশ, আশাদুল, ইমরান, এরশাদ, লায়লাতুলকে মদন হাসপাতালে ভর্তি আছে ও বাকীরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন আছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও বিকাল ৩ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, ঈদুল আযহার দিন কেন্দুয়া তাম্বুলী পাড়া পার্কে যাওয়ার জন্য বাঁশরী ট্রলার ঘাটে নৌকায় যাত্রী উঠা নিয়ে নায়েকপুর গ্রামের নৌকার মাঝি জাসদ ও বাঁশরী গ্রামের মাঝি নূরুল ইসলামের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।
এ ঘটনায় নায়েকপুর গ্রামের সবুজ বেপারী বাদি হয়ে বাঁশরী গ্রামের হাজী জালাল উদ্দিনসহ ২৫জনকে আসামী করে মদন থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। এরই জের ধরে শনিবার সকালে বাঁশরী বাজারের পাশের খরই খালের ব্রীজে বাঁশরী গ্রামের সোহাগের গ্রুপের সাথে নায়েকপুর গ্রামের শিপনের গ্রুপের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে ইট শুরকি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালিয়াজুরী সার্কেল জামাল উদ্দিন জানান, একজন বয়স্ক হাজী ব্যাক্তিকে চুরির মামলায় আসামী করায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে ট্রলার ঘাটে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।