ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। রাজনীতির মঞ্চে এসে এ মহানায়ক রাজনীতিবিদ থেকে হয়ে উঠেছিলেন ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক।
বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভার শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ১ মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়।
সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বাংলা ও বাঙালির হৃদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সূর্যের মতই দীপ্তিমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি শাখায় তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্পর্শে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশকে করেছেন নিজস্ব আসনে সমৃদ্ধ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য লাল-সবুজের পতাকা এবং স্বাধীন মানচিত্র।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রণতি ও ভালোবাসার এক অপূর্ব বহিঃপ্রকাশ। বাংলা ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং বাহাত্তরের সংবিধান তাঁর নেতৃত্বেই পেয়েছি।
মুজিবের চেতনায় ঘুছে যাক প্রেতাত্মাদের হৃদয়ের সকল কূপমন্ডুকতা। জাগ্রত হোক প্রতিটি প্রজন্মের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনায় আমাদের চিন্তাজগৎ শানিত হোক।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে প্রমুখ।