সোমবার ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০’ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

0
379
সোমবার 'ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০' এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

খবর৭১ঃ আগামী সোমবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৪টায় ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সচিবালয়ে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এম পি।

পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এ বছর ওআইসি যুব রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে এ স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করে। আগামী ২৭ জুলাই বছরব্যাপী বিস্তৃত এর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের ৭৫ টি দেশের প্রায় ১৩ শতাধিক তরুণ উক্ত আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বে আমাদের যুব-সমাজের অমিত সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। আমরা বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা ভোগ করছি। এছাড়াও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সরকার যে মানবিক সহায়তা করছে সেটিও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

ভার্চুয়াল এ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া সচিব, তথ্য সচিব, ধর্ম সচিব, সংস্কৃতি সচিব ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ও সংস্থার উদ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল অনুষ্ঠানটি এবার ভার্চুয়াল ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াসে তরুণদের নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফা) ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ এর স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। বিগত ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গৌরবজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করে।

‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ হিসেবে বাংলাদেশের এই অর্জন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য অপরিসীম অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছে। বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ও শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। ‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর প্রতিপাদ্য ‘রেজিলেন্স ফর প্যারিটি অ্যান্ড প্রোসপারিটি’ যা এই সংকট-কালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অব্যবহিত পর ২৭ ও ২৮ জুলাই দুইদিনব্যাপী ‘রেজিলেন্ট ইয়ুথ লিডারলিপ সামিট’ নামে একটি যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে থাকবে কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে যুব-সমাজ এবং প্রযুক্তি-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এর সমন্বয়ে সেশন।

এই যুবসম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও অত্যাচারিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যুবসম্প্রদায়কে সচেতন করা এবং মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এর ভার্চুয়াল পরিদর্শন এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে যুবসম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আপোষহীন সংগ্রাম এর গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বের যুবসম্প্রদায়কে জানানোর তাগিদে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।

বছরব্যাপী পরিকল্পনাকৃত অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহ হল-কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা, ফিল্ম ফেস্টিভাল, চিত্রকলা প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্কাউটক্যাম্প, এন্টারপ্রেনারশিপ, স্কিল ও এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্প এবং কুইজ প্রতিযোগিতা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১৮-৩৫ বছরের যেকোনো যুবক এই সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here