মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধি
সৈয়দপুরে র্যাবের অভিযানে অবৈধ পলিথিন কারখানা থেকে প্রায় ৪ টন পলিথিন, পলিথিনের রোলসহ পলিথিন তৈরীর উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে কারখানা মালিক মো. তারিক ইকবালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের চাঁদনগর এলাকায় সৈয়দপুর পলি প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান শেষে ওইসব পলিথিন ও পলিথিন তৈরীর উপকরণ জব্দ করে রংপুর নিয়ে যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সদস্যরা।জানা যায়, র্যাব-১৩ নীলফামারী সিপিসি-২ গোপন সংবাদে জানতে পারেন একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করার আড়ালে সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ পলিথিন কারখানায় পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দারা বেশ কয়েকদিন খোঁজ খবর নিয়ে এর সত্যতা পায়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলমের উপস্থিতিতে র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কোম্পানী কমান্ডার মো. ইমরান খানের নেতৃত্বে র্যাব-১৩ সিপিসি-২ নীলফামারীর সদস্যরা ওই ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালায়। এ সময় ফ্যাক্টরী ও গোডাউনে তল্লাশী চালিয়ে ২ হাজার ৪৭৩ কেজি অবৈধ পলিথিন, ১ হাজার ৭৫ কেজি এলডিপি দানা, ২৭০ কেজি পলিথিনের রোলসহ পলিথিন তৈরীর অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী সাইফুদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রমিজ আলমের উপস্থিতিতে উদ্ধার করা মালামালের জব্দ তালিকা করেন। পরে সেখানে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করার দায়ে কারখানা মালিক তারিক ইকবালকে (৩০) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম। পরে জরিমানা দিয়ে রেহাই পায় সে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন তাঁকে।
এদিকে জব্দ করা প্রায় ৪ টন পলিথিন ও পলিথিন তৈরীর উপকরণ রংপুর নিয়ে যায় পরিবেশ অধিদপ্তর।