মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদনে প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে বাচ্চা প্রসবের মামলা করায় প্রধান আসামি ধর্ষক কল্যাণ সাজী (২৫) কে গ্রেফতার করেছে মদন থানা পুলিশ। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাসনপুর গ্রামের অমৃত সাজীর ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ভিকটিম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৭ বছর আগে নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাটশিরা গ্রামের আব্দুল আহাদের মেয়ের সাথে পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার গ্রামের সবুজ ভূঁইয়ার ছেলে হাফিজুলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরে স্বমাী হাফিজুল তার স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে রেখে জীবিকার সন্ধানে ওমান চলে যান। স্বামী প্রবাসে থাকায় স্ত্রী বাবার বাড়ি ফতেপুরে বসবাস করতে থাকে।
এরই এক পর্যায়ে বাল্য বন্ধু কল্যাণ সাজীর সাথে মেয়েটি
পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠলে সে অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজনের মধ্যে কানাগুসা
শুরু হলে মেয়েটি দিশেহারা হয়ে যায়। এরই মধ্যে ১৮ মে ২০২০ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জের তনিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার একপুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক দেনদরবারে সুরাহা না হওয়ায় মেয়েটি বাদি হয়ে গত ১৩ জুলাই নেত্রকোনার মদন কোর্টে ৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ২২ জুলাই মদন থানায় প্রেরণ করলে এর এফ আই আর গ্রহণ করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই প্রধান আসামি কল্যাণ সাজীকে তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
এ ব্যাপারে ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম
চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় একাধিক দেনদরবার হয়েছে
কিন্তু ছেলের পক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করায় মীমাংসা করা
সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে কোর্টে একটি মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ মোশারফ
হোসেন জানান, প্রবাসীর স্ত্রীর কোর্টে দায়েরকৃত
মামলাটির প্রধান আসামি কল্যাণ সাজীকে গ্রেফতার
করে বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা
হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে পরবর্তী
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।