খবর৭১ঃ সরকারি অনুমোদন ছাড়া করোনা টেস্টসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠা সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি সিলগালা করার বিষয়টি বিবেচনা করছে র্যাব। সেখানে এখনো বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত (সিলগালার) নেয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালটির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছে সংস্থাটি।
বুধবার সন্ধ্যায় এসব কথা জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের বিষয়টি আমরা এখন পর্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছি। হাসপাতালটিতে বেশ কিছুসংখ্যক বিদেশি নাগরিক চিকিৎসারত আছেন। পাশাপাশি মেডিকেলের কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা জানেন, সাহাবউদ্দিন মেডিকেলে অনেকগুলো বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। তারা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল হিসেবে রাজধানীতে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আমরা সিলগালার বিষয়টি আইনগত এবং একইসঙ্গে মানবিক বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব।’
সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালটিকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানের সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালায র্যাব। হাসপাতালটির করোনা পরীক্ষার কোনো অনুমোদন না থাকলেও তারা করোনা পরীক্ষা করছিল। এছাড়া টাকার বিনিময়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করেই ফলাফল দেওয়া হচ্ছিল। তার থেকে গুরুত্বর অভিযোগ, হাসপাতালটি করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে ভর্তি রেখে মোটা অঙ্কের টাকা বিল করে। তাছাড়া হাসপাতালটির ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকলেও তারা নতুন করে নবায়ন করেনি। এছাড়া অভিযানে তাদের অপারেশন থিয়েটারে দশ বছর আগের বেশকিছু সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় অভিযানের সময় হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবিরকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। পরদিন বিকালে র্যাব হাসপাতালের এমডি ফয়সাল আল ইসলামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪-৫ জনের নামে একটি মামলা করে। সেই মামলায় তিনজন রিমান্ডে আছেন।