খবর৭১ঃ ভারতের মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার একটি খনি থেকে ১১ ক্যারেটের একটি হীরার খণ্ড পাওয়া গেছে। এই হীরাটির দাম আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পান্নার হীরা কার্যালয়ের লোকাল ডায়মন্ড অফিসার আর কে পাণ্ডে জানিয়েছেন রানিপুরের একটি খনির লিজ নিয়েছেন আনন্দিলাল খুশাওয়া নামে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি।
তিনিই হীরা কার্যালয়ে ১০.৬৯ ক্যারাটের ওই হীরক খণ্ডটি জমা করেছেন। আনন্দিলাল খুশাওয়া সম্প্রতি ৭০ সেন্টের একটি হীরাও লোকাল ডায়মন্ড অফিসে জমা করেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে এই প্রথম পান্না থেকে এত বড় হীরার সন্ধান মিলল বলে জানিয়েছেন লোকাল ডায়মন্ড অফিসার আর কে পাণ্ডে। নিয়ম অনুযায়ী এরপর হিরাটিকে নিলামে তোলা হবে।
নিলাম থেকে প্রাপ্য অর্থ সরকারি রয়্যালটি এবং ট্যাক্স কেটে যার লিজ নেওয়া খনি থেকে হিরে পাওয়া গিয়েছে তাকে দেওয়া হবে। হিরাটির প্রকৃত মূল্যায়ন এখনও করা না হলেও এর গুণগত মান দেখে অন্তত ৫০ লাখ দাম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বড় হিরার খোঁজে তিনি ও তাঁর পার্টনার গত ছয় মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন বলে জানিয়েছেন আনন্দিলাল খুশাওয়া। মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড এলাকা হিরের খনির জন্য বিখ্যাত। মাঠে চাষ করতে গিয়েও এখানের হিরের খোঁজ পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আগে।
গত বছর এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার গোলাভানেপল্লী গ্রামে। প্রতিদিনের মতোই জমিতে চাষ করছিলেন এক কৃষক। হঠাত্ই একটি স্বচ্ছ নুড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। পাথরটা নিয়ে সোজা গয়নার দোকান ছুটে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষা করে জানতে পারেন স্বচ্ছ পাথরটি আসলে বেশ বড়সড় একটি হীরা। বাজার মূল্য অন্তত ৬০ লক্ষ টাকা। এরপর প্রতি বছর বর্ষার সময়ে তুঙ্গভদ্রা ও হুন্ডরী নদীর আশপাশে তাবু করে থাকতে শুরু করেন অনেকে, লক্ষ্য একটাই। বর্ষায় ধুয়ে আসা বালি-কাদার মধ্যে হিরের খোঁজ চালানো। সফলও হন কেউ কেউ। গত বছরেই জন্নাগিরি গ্রামে ভেড়া চড়াতে বেরিয়ে হিরা খুঁজে পান এক মেষ-পালক।
গত বছর আফ্রিকার বতসোয়ানা থেকে উদ্ধার হয় বিশ্বের বৃহত্তম হীরক খণ্ডের। বতসোয়ানার একটি খনি থেকে ১ হাজার ৭৫৮ ক্যারাটের হিরেটি সম্প্রতি তোলা হয়েছে। এর চেয়ে বড় আকারের হিরের সন্ধান এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে পাওয়া যায়নি।