খবর৭১ঃ সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২৬ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এবার নারী-পুরুষ উভয় আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই স্নাতক ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। আগে আবেদনের যোগ্যতা ছিল পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি এবং নারীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি। আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেই এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়েছে। মন্ত্রণালয় আমাদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই আগামী মাস কিংবা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আমরা নতুন বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব। নারীদের আবেদনের যোগ্যতা এইচএসসি থেকে বাড়িয়ে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, গত ১৬ জুন প্রাক-প্রাথমিকের সময়সীমা দুই বছর ও ভর্তির বয়সসীমা চার বছর করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেছেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তিতে শিশুদের বয়স ৪ ও মেয়াদকাল ২ বছর করা হয়েছে। এ স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। একত্রে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সচিব বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক স্তরে নতুন ২৬ হাজার শিক্ষকের পদ সৃজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাব সচিব কমিটি অনুমোদন করেছে। কেবিনেট সভাতেও এটি অনুমোদন পেয়েছে।’