খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিয়ে আসছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, ফেস মাস্ক পরা। ফলে নিরাপদ থাকতে পথেঘাটে, অফিসে সবাই এখন মাস্ক পরছেন।
মাস্ক পরলে বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা হয় না, কিন্তু যারা চশমা পরেন তারা একটা সমস্যায় পড়েন: চশমার কাঁচ ঘোলাটে হয়ে যায়। কেননা প্রশ্বাস থেকে নির্গত বাতাস চশমাতে গিয়ে জমা হয়। এতে এক পর্যায়ে চশমা ঘোলাটে হয়ে যায়। আর তাই কিছুক্ষণ পর পর চশমার কাঁচ পরিষ্কার করতে হয়। এতে চোখে ভাইরাস যাওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তবে চশমা ঘোলাটে হওয়ার এই সমস্যা এড়ানোর কার্যকর উপায় রয়েছে। আর তা ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমেই সম্ভব।
সাবান-পানি
মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে কাজ হয় বলে জানিয়েছেন দ্য রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব ইংল্যান্ডের একজন সার্জন। তিনি বলেন, ‘সাবান পানিতে চশমার কাঁচ ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিলে কুয়াশা প্রতিরোধ হবে।’ এর কারণ হলো, সাবান সারফেস অ্যাক্টিভ অ্যাজেন্ট (সারফেক্ট্যান্ট) হিসেবে কাজ করে ও চশমার কাঁচে একটি পাতলা আবরণ সৃষ্টি করে, যা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেয় না।
শেভিং ক্রিম
আরেকটি সহজ উপায় হলো শেভিং ক্রিম। চশমার কাঁচে সামান্য শেভিং ক্রিম লাগাতে পারেন। এরপর শুষ্ক কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে মুছে ফেলুন। পানি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
বেবি শ্যাম্পু
বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেও সারফেক্ট্যান্ট উপাদান থাকে। মাস্ক পরার আগে চশমার কাঁচকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চশমার কাঁচে সামান্য পরিমাণ বেবি শ্যাম্পু লাগিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টুথপেস্ট
ঘোলাটে চশমা পরিষ্কারের আরেকটি সহজ উপাদান হলো টুথপেস্ট। সামান্য পেস্ট চশমার কাঁচে লাগিয়ে টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষুন। চশমার পরিষ্কার এবং চকচকে হয়ে উঠবে।
ক্লিনার
প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। চশমার দোকানে এই ক্লিনার পাওয়া যায়। এটির ব্যবহারে চশমা ১-৩ দিন পর্যন্ত ঘোলাটে হবে না। আপনি চাইলে বাসায় সহজেই অ্যান্টি-ফগ ক্লিনার তৈরি করে নিতে পারেন। এজন্য ৩০ মিলি গ্লিসারল এবং ১০ মিলি তরল সাবান একত্রে মেশান, এরপর এতে কয়েক ফোঁটা টারপেনটাইন যুক্ত করুন এবং ভালো করে নাড়ুন। ঘরোয়া এই ক্লিনার আপনি চশমার কাঁচে ব্যবহার করতে পারেন, যা ৩-৪ ঘণ্টা চশমাকে ঘোলাটে হতে দেবে না।