খবর৭১ঃ কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকার কারবারিরা। প্রায় ৪০ কোটি জাল টাকা বাজারে ছাড়ার টার্গেট নিয়ে নেমেছিল তারা। র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে এই চক্রের ছয় সদস্য। চক্রটি ১০০ টাকার আসল নোটকে পানিতে সিদ্ধ করে রং তুলে ফেলার পর শুকিয়ে সেটিতেই ৫০০ টাকার ছাপ বসায়। ফলে টাকার কাগজ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য প্রায় অক্ষুণ্ন থাকে। ছাপাও এমন নিখুঁত হয় যে দেখে জাল বলে বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না। এতে সহজেই প্রতারণার ফাঁদে পড়েন মানুষ।
সোমবার রাজধানীর মিরপুর ও বসুন্ধরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও ভারতীয় রুপিসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল টাকা বানানোর কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস, কাটার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রায় ২৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল টাকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল (কাগজ, কালি, জলছাপ দেয়ার সামগ্রী) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. সেলিম, মো. মনির, মো. মঈন, মোছা. রমিজা বেগম, মোছা. খাদেজা বেগম এবং মো. শাহীনুর ইসলাম।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। বিশেষ করে ১০০ টাকার নোটকে সিদ্ধ করে ৫০০ টাকার ছাপ দিতো। বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে তৈরি করা এক হাজার টাকার জাল নোটগুলো দেখে আসল না নকল চেনা সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জাল টাকা তৈরির সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। গ্রেপ্তার মঈন মনিরকে জাল টাকা ছাপানোর সহযোগিতা করতেন। প্রিন্ট করা টাকা কাটিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। আর রমিজা বেগম সেলিমকে কাগজে আঠা লাগানোর কাজে সহায়তা করতেন। প্রয়োজনীয় ফুটফরমাশ খাটতেন। খাদিজা বেগম এবং শাহীনুর সাদা কাগজে নিরাপত্তা সুতার জলছাপ দেয়ার কাজ করতেন।