নেত্রকোনার মদনে ঘুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন অসহায় দিন মজুর মিনু মিয়া

0
1081
মদনে ঘুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন অসহায় দিন মজুর মিনু মিয়া

খবর৭১ঃ

আব্দুল আওয়ালঃ বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে স্তব্ধ সমস্ত পৃথিবী। ঘর বন্দি মানুষ। আয় রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে অসহায় দিন মজুর মানুষগুলো। সংসার চালাতে খুঁজছেন নতুন পথ। নেত্রকোনা মদনের এমনি এক অসহয় দিন মজুরের নাম মিনু মিয়া।

সেও তার সংসার চালানোর জন্যে এক নতুন পথ বেছে নিয়েছেন। সে এখন ঘুড়ি বিক্রি করে তার সংসার চালাচ্ছেন। এতে করোনা ঝুকি কম। করোনা নিয়ম মেনে এই কাজ করা যায়। বর্তমানে নেত্রকোনাসহ সারা দেশে ঘর বন্ধি মানুষের অন্যতম বিনোদনের উৎস হয়ে উঠেছে ঘুড়ি উড়ানো। রঙ্গ বেরঙ্গের ঘুরি। এখন দিনের ন্যায় রাতের অাকাশে ঘুড়ি বেশি উড়াতে মজা পায় মানুষ। এতে করে ঘুড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে। নেত্রকোনার মদন উপজেলার কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের মো: মিনু (৪৬) মিয়া তার সংসার চালাচ্ছেন ঘুড়ি বিক্রি করে।

তিনি প্রায় ৩ মাস ধরে ঘুড়ি বিক্রি করে তার সংসার চালাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ছোট বড় প্রায় ৩০০ ঘুড়ি তৈরি করে বিক্রি করেছেন। তার তৈরি একটি ঘুড়ির দাম ৩০০- ১০০০ টাকা। তিনি প্রতি দিন ৪-৫ টা ঘুড়ি তৈরি করতে পারেন। এসব ঘুড়ি তৈরিতে বাঁশ, কাগজ, পলিথিন ইত্যাদি ব্যবহার করেন। এমনকি রাতে ঘুড়ি উড়ানোর জন্যে ঘুড়িতে মোবাইলের ব্যাটারি দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এই ঘুড়িগুলো রাতের অাকাশে তারার মত দেখায়। ঘুড়ি বিক্রেতা মিনু মিয়া জানান, করোনার কারনে অায় রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছিল। ঘর হতে বাহির হতে পারতাম না। কোন কাজ ছিল না। কিভাবে সংসার চালাবো ভেবে পাচ্ছিলাম। হঠ্যাৎ দেখি মানুষ ঘুড়ি বানিয়ে উড়াইতাছে।

তখন আমিও একটা ঘুড়ি বানিয়ে উড়াই। এর পর একজন এসে বলে অামার বাচ্ছার জন্যে একটা ঘুড়ি বানিয়ে দিবা। এভাবে আমি ঘুড়ি বানিয়ে বিক্রি করতে শুরু করি। এক সময় আমার ঘুড়ি বানানোর চাহিদা বেড়ে যায়। এখন আমাকে দিনে রাতে ঘুড়ি বানাতে হয়। আল্লাহর রহমতে ঘুড়ি বিক্রি করে এখন আমার সংসার ভাল চলছে। আল্লাহ সকলকে করোনা থেকে মুক্তি দিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here