খবর৭১ঃ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রাহক। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গ্রাহকদের বাড়তি বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার অনুরোধ করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেছেন, কিছু কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে বেশি বিল করে ফেলা হয়েছে। এটা ভুলক্রমে হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ওইসব বিল ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি। নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিস গেলেই বিল ঠিক করে দেয়া হবে। গ্রাহকের কোনো ভয় নেই। কাউকে অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না।
বুধবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিদ্যুত খাতের বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংলাপে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। এর আগে অবশ্য কয়েক জন বক্তা এই বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান এই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এতে সাবেক ও বর্তমান আমলা, অর্থনীতিবিদসহ বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ নিয়ে তিনটি প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অনুসারে বিদ্যুতের চাহিদার কোনো প্রাক্কলন আছে কি না? ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বাদ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে ব্যবসায়িক চাহিদার কোনো সমন্বয় আছে কি?
এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আর রাখতে চাই না। গত বছর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অবসরে পাঠানো হবে। বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি অর্থায়ন আনতে ‘বিদ্যুৎ বন্ড’ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ সময় সাবেক বিদ্যুৎসচিব এম ফাওজুল কবির খান বলেন, সারা দুনিয়া ভাড়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসছে।