পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাত সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ

0
319
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাত সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ

রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বামীর বিরুদ্ধে ৭ সন্তানের জননীকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু কুলসুম বেগম আইনী সহায়তা পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের নিম হাওলা গ্রামের সুন্দর আলী ফরাজীর ছেলে আশ্রাফ ফরাজীর সাথে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক কুলসুমের বিবাহ হয়। দীর্ঘ সংসার জীবনে তার ৬মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।

বিবাহের পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে একাধিকবার নির্যাতন করেন। বিগত ১২ জুন সকালে বাজারের জন্য স্বামীর দোকানে গেলে লোকজনের মধ্যেই সে তাকে (কুলসুম) এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে পড়লে স্বামী ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে এলাকাবাসী আমাকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কুলসুম বেগমের বাম হাতের ১টি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং শরীরে কালো কালো মারধরের চিহ্ন আছে।

এবিষয় নিয়ে আশ্রাফ ফরাজীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধরের কথা তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা খান বলেন, আসলেই কুলসুম বেগম অসহায় ১টি মহিলা, বিষয়টি দেখব। কুলসুম বেগম বাদী হয়ে নির্যাতন ও যৌতুক চাওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ১টি লিখিতভাবে জানান। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, এসআই নজরুল রাড়ীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here