খবর৭১ঃ করোনা সংক্রমণের মাত্রা অনুসারে সরকার ঘোষিত রেড জোনগুলোতে টহলে নামছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। করোনায় সরকারি নির্দেশাবলী যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে রেড জোনগুলোতে সেনাটহল জোরদার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনা সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঢাকাসহ সারা দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে এ বিষয়ে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে রেড ও ইয়েলো জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে জানানো হয়। ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা–সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকায় ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামের দশটি এলাকা।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাকালে রাত ৮টার পর বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১৬ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিংমলগুলো চালু থাকবে। তবে তা অবশ্যই বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।