খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা হিসেবে চিহ্নিত রেড জোন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এসব এলাকায় ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ পর্যন্ত। আরএ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শেষ করার জন্য দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সময় পাবেন ব্যাংকাররা। আর অন্যান্য এলাকাগুলোতে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। পাশাপাশি বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে অন্যান্য কার্যক্রম।
সোমবার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, রেড জোনে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দপ্তরসমূহ এবং রেড জোনে বসবাসকারী বর্ণিত দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এবারের সাধারণ ছুটি আগের ছুটির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। আগের দফায় সাধারণ ছুটি অমান্য করে অনেক মানুষ স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখলেও এবার কঠোর হবে সরকার। অনেকটা লকডাউনের আদলে এসব এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।
জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকায় ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামের ১০টি এলাকা। লকডাউনের পরিবর্তে এসব জোনেই সাধারণ ছুটি থাকবে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় সরকার কোনো জেলা বা উপজেলাকে রেড বা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করলে সেই এলাকাও সাধারণ ছুটির আওতায় আসবে।