খবর৭১ঃ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০নং জামালপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ এলাকায় কিস্তি জনিত বাক-বিতণ্ডা নিয়ে কেশব বর্মন নামে একজনকে মারপিট করার পাওয়া গেছে গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতি মামুনের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল ১১টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন নির্যাতিত ব্যক্তি কেশব বর্মন।
কেশব বর্মন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১০নং জামালপুর ইউনিয়নের বিশ্বাস পুর গ্রামের মৃত গুরু দয়ালের ছেলে। কেশব বর্মন এর একটি টেইলার্সের দোকান আছে। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে গ্রামীণ সমবায় সমিতি থেকে ১লক্ষ টাকা লোন নেন তিনি। অভিযোগে তিনি আরো বলেন, সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা লোন নেওয়ার পূর্বে তাকে বলা হয় ৬ মাস মেয়াদী দৈনিক ৬০০ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এতে তিনি রাজি হওয়ায় তার কাছে অলিখিত ৩০০টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং উক্ত টাকা পরিশোধ হলে তাকে অলিখিত স্টাম্প গুলো ফেরত দিবে। কেশব বর্মন আরো বলেন, আনুমানিক আট থেকে দশটি কিস্তি দেওয়ার পর দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় সরকার কর্তৃক লকডাউন এবং দোকানপাট সব বন্ধ ঘোষণা করায় উক্ত সমিতির ঋণ আদায় বন্ধ থাকায় টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
গত ৩১.০৫.২০২০ তারিখে দোকানপাট খোলার নির্দেশ হইলে কেশব বর্মন দোকান খোলেন। সে সময় গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ মামুন দুপুর ২টায় তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে দোকানে আসে এবং কিস্তির টাকা চায়। অভিযোগে আরো জানা যায়, কেশব বর্মন উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন সময় চাইলে, একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং কেশব বর্মন কে বলে স্বাক্ষর করা লিখিত স্ট্যাম্পে জমি লিখে নিবে। এ বিষয়ে কেশব বর্মন না স্বীকার করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ছড়া ও হাতুড়ি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলে সে গুরুতর জখম হয় এবং তার পকেটে থাকা ৩০হাজার ৫ শত টাকা বের করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে কেশব বর্মন ঠাকুরগাঁও সদর থানায়, একটি এজাহার করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগটি হাতে পেয়ে ,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সমবায় অফিসার কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মো:রেজাউল করিম জানান,এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে গ্রামীণ সমবায় সমিতির সভাপতি মামুনের সাথে বিস্তারিত জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।