খবর৭১ঃ
আব্দুল আওয়ালঃ নেত্রকোনার মদনে শাহিনূর আক্তার পান্নার (২৬) মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের ভাই মাহফুজ আলম মমিন বাদি হয়ে বিজিবি সদস্য স্বামী মোঃ ওমর সানি লিংকন,মা জেবুন্নাহার শেলি ও বোন মমিতা আক্তার (মম) কে আসামী করে রোববার সন্ধ্যায় মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার ১ নং আসামী মোঃ ওমর সানি লিংকনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজিবি সদস্য ওমর সানি লিংকন গোবিন্দশ্রী গ্রামের (অব) আলতাব মাস্টারের ছেলে। বর্তমানে কক্সবাজার টেকনাফে কর্মরত আছেন। লিংকনের দাবি পান্না আক্তার রাতের আধাঁরে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বাদি নিহতের ভাই মাহফুজ আলম মমিন জানান, আমার বোনকে অনেক অত্যাচার করেছে তার স্বামী। ফলে স্বামীর বাড়িতে সে থাকতে পারেনি। আমরা আমার বোনকে বিয়ে দেয়ার সময় অনেক টাকা যৌতুক দিয়েছি। এর পরেও বিভিন্ন সময় আমার বোনকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করত লিংকন। তার স্বামী লিংকন,মা জেবুন্নাহার শেলি ও বোন মমিতা আক্তার (মম) মিলে আমার বোনকে হত্যা করেছে।
হত্যার পর আত্ম হত্যা বলে চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাই রোববার সন্ধ্যায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী এস আই নূরুল আমিন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাহ্ফুজ আলম মমিন ভগ্নিপতি লিংকন, মাজেবুন্নাহার শেলি ও বোন মমিতা আক্তার (মম)কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। স্বামী লিংকনকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ ছিল। তার আত্মহত্যার পেছনে তাদেরও হাত আছে। একজন লোক এমনিতেই আত্মহত্যা করে না। মামলাটি তদন্তাধীন জেবুন্নাহার শেলি ও বোন মমিতা আক্তার (মম)কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্বামী লিংকনকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ ছিল। তার আত্মহত্যার পেছনে তাদেরও হাত আছে। একজন লোক এমনিতেই আত্মহত্যা করে না। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।