খবর৭১ঃ
অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতে আটক হন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বেশ জোরেশোরে তদন্তে নামে কুয়েত সরকার। এরইমধ্যে পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টানা ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ।
লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে আটকের পর তদন্ত চলার মধ্যে এটিকে ‘সবচেয়ে বড়’ মানবপাচারের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ। যিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
আটক বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে কুয়েত সরকার যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী।
পাপুলের পর দেশে সবচেয়ে বড় মানবপাচার চক্রের হোতাকে আটক করার কথা জানিয়েছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী। আটক ব্যক্তি এশিয়ার একটি দেশের নাগরিক বলে জানান তিনি।
উপ-প্রধানমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে শনিবার এক টুইট বার্তায় মানবপাচারের বিষয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মানবপাচারের অভিযোগের তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যে-ই হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না।
শনিবার রাতে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা এসব তথ্য জানিয়েছে।
মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে টুইট বার্তায় কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সরকারি কর্মকর্তা হোন কিংবা বিশিষ্ট কোনো নাগরিক, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।