খবর৭১ঃ গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট। সকল পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি আদালতে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ।
এরপরই বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিটকারী পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব শুনানি করেন। পরে আইনজীবীরা বলেন, আদালত হস্তক্ষেপ না করায় ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল রইল।
করোনাকালে সাধারণ ছুটি শেষে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ লক্ষে প্রতি বাসে অর্ধেক আসন খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হয়। এরপ্রেক্ষিতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ৬০ ভাগ। রবিবার জারি করা হয় প্রজ্ঞাপন। ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির।
তিনি বলেন, শুনানির শুরুতেই রিট আবেদনটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায় সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিকভাবেই ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তবে রিটের পক্ষে আমি আদালতকে বলেছি, করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন-জীবিকাও বিপর্যস্ত। সেক্ষেত্রে পরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো মানুষের কাছে মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মত। সরকার ভাড়া বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।