মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ সৈয়দপুরে টুকটুকি রানী দাস (১৫) নামে এক কিশোরী ঘরের এ্যাঙ্গেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ বুধবার বিকেলে শহরের হাতিখানা এলাকার তিনমাথা মোড়ের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। কিশোরী টুকটুকির বাবার নাম শ্রী শংকর দাস। পেশায় সে ধোপা। জানা যায়,ঘটনার দিন দুপুর বেলা বাড়ির সকলে খাওয়া দাওয়া করে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে। এসময় টুকটুকি তার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর ওই কিশোরীর বড় ভাই রতন তাঁকে ডাক দিলে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখে তাঁর বোন এ্যাঙ্গেলে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে।
এদৃশ্য দেখে তাঁর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। পরে তারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় টুকটুকিকে নিচে নামায়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান ও মহিলা পুুলিশসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এতে কিশোরী টুকটুকি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে বলে জানান তারা। কি কারণে টুকটুকি আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে টুকটুকির বাবা শংকরসহ পরিবারের লোকজন কিছুই জানেন না বলে জানান।
এদিকে আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা তৈরী করা সুরতহাল রিপোর্টের তথ্য দেখেন এবং কিশোরী টুকটুকি কি কারণে আত্মহত্যা করতে পারে তা জানতে বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন। এসময় তারা পরিবারের সদস্যদেরও সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ঘটনা মনে হলেও কি কারণে কিশোরী টুকটুকি আত্মহত্যা করেছে তা জানতে এবং ব্যাপক তদন্তের জন্য মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হবে কাল বৃহস্পতিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে আসল ঘটনা। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।