খবর৭১ঃ কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবেলায় যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এই ওষুধ প্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জাতিসংঘের আওতাভুক্ত এই সংস্থার দাবি,অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। এর ফলে চলমান এই সংকটে ও পরে বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদ্রোস আধানম জেনেভায় ডব্লিউএইচও’র প্রধান কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানান,সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ দমনে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয় সেসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকে থাকতে সক্ষম ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক হারে’ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংকটে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে চলমান এই মহামারির সময় এবং এর পরে রোগ ও মৃত্যুর বোঝা বাড়াবে।
সারধারণত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয় অ্যান্টিবায়োটিক। এর কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া বা কাজ না করাকেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক যখন কার্যকারিতা হারায় তখন শরীরের ভেতরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে বেঁচে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। এ কারণে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না, রোগও সারে না।
ডব্লিউএইচর মতে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত খুব কম রোগীর ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের দরকার পরে। কাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যাবে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
তেদ্রোস আধানম সম্মেলনে বলেন, এটা পরিষ্কার যে, বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।