খবর৭১ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কিমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন, দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ভালো গ্র্যাজুয়েট ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ৬-সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।
এছাড়াও সভায়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের কোন কোনটি কোন বিভাগ/ইন্সটিটিউট কিভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইন্সটিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দফতরে এই ডাটাবেজ জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
গতবছরের ২৬ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে কারিকুলাম উন্নয়নের অনুরোধ করা হয়েছিল। এখনো যারা সে নিরিখে কারিকুলাম উন্নয়ন করেননি তাদেরকে কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয়।
সভায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯ ) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা শেষে বাস্তবতার নিরিখে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানানো হয়। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইন্সটিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কি কি চাহিদা/ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপন করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অধিকতর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য, বিভাগ/ ইন্সটিটিউটের সক্ষমতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা নির্ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়। তাই এতদ্ববিষয়ে অনুষদের সুপারিশসহ যাবতীয় তথ্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের জন্য ডিন/পরিচালকবৃন্দকে অনুরোধ জানানো হয়