খবর৭১ঃ
দেশের তৈরি পোশাক কারখানার সংস্কার দেখভালের লক্ষ্যে বিদেশী ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত বহুল আলোচিত অ্যাকর্ড (অ্যাকর্ড অন ফায়ান এন্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ) অবশেষে বাংলাদেশ ছাড়ছে। সমঝোতা অনুযায়ী গত ৩১ মে তাদের কার্যক্রম শেষ হওয়ায় ঢাকা অফিস গুটিয়ে নিয়েছে অ্যাকর্ড। এর বদলে পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম দেখভাল করবে গার্মেন্টস কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সমন্বয়ে গঠিত আরএসসি (আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল)।
গতকাল বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরএসসির কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা গেছে, আরএসসিতে পোশাক কারখানা মালিক, শ্রমিক ও ব্র্যান্ডদের প্রতিনিধিও থাকছে। এছাড়া এতে অ্যাকর্ডের ঢাকা অফিসের জনবলও থাকছে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মুখে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানার অগ্নি, ভবনের কাঠামো ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা ও সংস্কার কার্যক্রম দেখভালের লক্ষ্যে গঠিত হয় অ্যাকর্ড। ৫ বছরের জন্য ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ওই উদ্যোগের সঙ্গে সোয়া দুইশর বেশি ক্রেতা ও ব্র্যান্ড যুক্ত ছিলো। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই একতরফা সিদ্ধান্তে আরো তিন বছরের জন্য সময় বাড়ায় তারা। এছাড়া মূল কাজের বাইরেও কিছু ইস্যুতে কারখানা মালিকদের সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় ক্রমেই দূরত্ব বাড়তে থাকে।
এসব ইস্যু গড়ায় আদালত পর্যন্তও। তবে সর্বশেষ একতরফা বাংলাদেশে কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানোর ভালোভাবে নেয়নি সরকারও। অন্যদিকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে আদালতের পক্ষ থেকেও চাপ বাড়তে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে থাকতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল অ্যাকর্ড। এসব নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সময়ই আলোচনায় উঠে আসে অ্যাকর্ড ইস্যু।
এমন পরিস্থিতিতেই অনেকটা হুট করেই আরএসটি গঠনের ঘোষণা আসে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে। নানা আলোচনা, বৈঠকের পর ‘শর্তসাপেক্ষে’ নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে রাজি হয় অ্যাকর্ড। এরপর সমঝোতা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম শেষ হয় গত ৩১ মে। ফলে দৃশ্যপট থেকে আপাতত চলে গেলেও আরএসসি’র কার্যক্রম কিংবা সফলতা, ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করবে অ্যাকর্ডে ভবিষ্যৎ অবস্থান।