খবর৭১ঃ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘাটাইল হাতুড়ির আঘাতে প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত হামলার স্বীকার আঃ রহিম(২৩) নামের এক যুবক। এলোপাহারি মারধরে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিপক্ষ বাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী শরভানু এলাকার কুচক্রিমহল ও প্রতিবেশিদের উস্কানিতে হত্যাচেষ্টায় অতর্কিত হামলা করেছে।
প্রথমে দু’বাড়ির শিশু বাচ্চা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। দুইদিন পর এ জের থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা যায়। আহত আঃ রহিম মালিরচালা গ্রামের মোঃ জমশের আলীর ছেলে। এইচএসসি পাশ করে প্রাণ কোম্পানিতে কর্মরত। এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীও তিনি। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালিরচালা বাজার এলাকায়। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, বাবলু মিয়ার ছেলে শামীম(৮) ও আঃ রহিমের ভাগিনা জসিম(৭) কে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এই জের ধরে দুইদিন পর একই এলাকার প্রতিবেশী শহিদুল,সাইদুর ও মালেক মিয়ার উস্কানিতে বাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী আঃ রহিমের উপর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
এলোপাথারি কিলঘুশি ও হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এ সময় রহিমের চাচা নরুল ইসলাম মারামারি থামতে গেলে তাকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে পরে থাকতে দেখলে স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে ভর্তি করেন। জানতে চাইলে স্থানীয় রুবেল, আমিনুর, গিয়াস উদ্দিন ও রোকন সহ একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলাকারী বাবলু মিয়া তার প্রতিবেশি শহিদুল, সাইদুর ও মালেক মিয়া প্রভাবশালি হওয়ায় এলাকার বহুমানুষকে দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে।
এই ঘটনার আধঁঘন্টা আগে সাইদুর মিয়া আঃ রহিমকে মুঠোফোনে ডেকে আনে। এমন নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছেন তারা। সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন জানান, ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।