মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতনিধিঃ রেলওয়ের ইতিহাসে একটানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন কালনী এক্সপ্রেস রোববার (৩১ মে) সকাল পৌনে ১০টায় শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশন থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে সিলেট রুটে সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রোববার (৩১ মে) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা সুশৃংখলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং কাঙ্ক্ষিত ট্রেন ‘কালনী’ সিলেট থেকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছালে যাত্রীরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেনে ওঠেছেন। ট্রেনে ওঠার সময় যাহাতে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও জিআরপি পুলিশ এবং শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ করা নজরধারীতে ছিল। এছাড়াও ট্রেনের ভিতরে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য একটি সিট ফাঁকা রেখে আরেকটি সিটের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। তাই নতুন সিট প্ল্যান অনুযায়ী ফাঁকা ফাঁকা করে কভার যুক্ত সিটে বসে ভ্রমণ করতে পেরেছেন যাত্রীরা।
ট্রেনের মধ্যে কোনো হকার উঠতে দেওয়া হয়নি। ছিলনা ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থাও। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারিতে যাত্রী সুরক্ষার দিক বিবেচনা করে ট্রেনের সব টিকিটই অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। এছাড়া স্বাস্থবিধি মেনে ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার গৌর প্রসাদ দাশ পলাশ জানান, করোনার সংক্রমণরোধে টিকেট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। বরাদ্দকৃত টিকেটের অর্ধেক যাত্রীরা অনলাইনে সংগ্রহ করেছেন। প্রথম দিন সিলেটরুটে একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়েছে। সহকারী স্টেশন মাস্টার মুশফিক উদ্দিন বলেন, দুই মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। প্রথম দিনে ৩০-৩৫ জন যাত্রী শায়েস্তাগঞ্জ থেকে কালনী ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। টিকেট বিহীন কোন যাত্রীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়নি। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা যায়, আজ আর কোন ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে না। তবে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী ট্রেন সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছাবে।