খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সংশোধিত ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীনস্থ দফতর ও প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসন-১ এর শাখার উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-
১. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
২. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।
৩. অফিস পরিবহনে অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সকলকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।
৪. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
৫. যাত্রার আগে এবং যাত্রাপথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
৬. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।
৭. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৯. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
১০. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
১১. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
১২. কোনও কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।