খবর৭১ঃ স্পেসএক্স এর রকেটে আগামী কয়েক-ঘণ্টার মধ্যে নাসার দুই আমেরিকান নভোচারী ডগ হারলি এবং বব বেনকেন কক্ষপথে প্রবেশের জন্য দ্বিতীয় চেষ্টা করবে। সেই লক্ষে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন দুই নভোচারী। খবর বিবিসি।
এর আগে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মহাকাশে নভোচারী পাঠানো বন্ধ রাখতে হয়েছে বেসরকারি রকেট সংস্থা স্পেসএক্সকে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে বেনকেন ও হারলি নামের নাসার দুই নভোচারীকে মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল স্পেসএক্স’র। তবে বৃষ্টির কারণে সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
তবে শনিবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস এক্স’র এই রকেট আবার উৎক্ষেপণ করা হবে বলে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।
শনিবার নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন জানান, আমরা সম্ভবত আজ সেই অবস্থা পেয়েছি। আমরা আজ আমাদের রকেট উৎক্ষেপণ করবো এবং মহাকাশ ছুঁবো।
গত ৯ বছর ধরে নাসার নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার মহাকাশযান ব্যবহার করেছে। প্রায় এক দশক পর নিজেদের মাটি থেকে নিজদের রকেটে চড়ে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল মার্কিন নভোচারীদের কাছে।
এই বিষয়ে নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন জানিয়েছেন, মিশন ব্যর্থ হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার জন্য বুধবারের মহাকাশ যাত্রা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্প তথা স্পেস এক্সের পথ চলা সেই ২০০২ সাল থেকে। প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ক্যালোফোর্নিয়ার এই বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসক্রাফ্ট এবং রকেট বানানোর জন্য বিখ্যাত। মহাকাশযান তৈরি করলেও, মহাকাশ অভিযানে রকেট পাঠানোর সুযোগ কয়েকবারই হয়েছে স্পেস এক্স সেন্টারের।
প্রথমবার ২০০৮ সালে পৃথিবীর কক্ষে ফ্যালকন ১ রকেট পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স। সেটাই ছিলপ্রথম মহাকাশ মিশন। ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট মহাকাশে পাঠিয়েছিল তারা। এরপরে ২০১৫,২০১৭ সালে ফ্যালকন ৯ রকেট পাক খেয়েছে পৃথিবীর কক্ষে। ২০১১ সালে প্রথমবার নভশ্চর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নামে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। তারপর থেকে দীর্ঘ সময়ের বিরতি। ৯ বছর পরে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফের আইএসএস-এ নভোচারী পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দেয় স্পেস এক্স।
গর্বিত এই অভিযানের অংশ হতে পারছি। স্পেসক্রাফ্টে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ নেই। শুধুমাত্র খারাপ আবহাওয়ার জন্য যাত্রা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছুদিনের অপেক্ষা করতে হবে।