মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধি :
ঈদের দিন সকলেরই আশা থাকে পরিবারের সাথে একটু ভাল খাওয়া। কিন্তু এবার সে আশায় একটু ভাটা পড়েছিল।অনেক স্বচ্ছল পরিবার ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করলেও দিন আনে দিন খাওয়া কর্মজীবী মানুষ জনের ছিলনা সেই আনন্দ। তাই সৈয়দপুরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ওইসব অসহায়দের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করলেন ইটস্ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সমাজসেবক মো. আদনান হোসেন। গতকাল বুধবার তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকার ৫ শতাধিক অসহায় নারী-
পুরুষের মাঝে বিরিয়ানী বিতরণ করে সামান্য হলেও করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের আনন্দে সামিল হয়েছেন। সমাজসেবার অঙ্গিকারে প্রতিষ্ঠা করা বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ইটস্ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং ফুড ব্যাংক নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষের মাঝে ঈদের বিরিয়ানি বিতরন করা হয়। শহরের গার্ডপাড়া উর্দূভাষী ক্যাম্প, হঠাৎ বস্তি, নতুন বাবুপাড়া, সরকার পাড়ায় গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলের মাঝে ওইসব খাবার বিতরণ করেন ইটস্ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. আদনান হোসেন। এসময় তাঁকে সহযোগিতা করেন ফাউন্ডেশনের স্থানীয় প্রতিনিধি ছাড়াও স্বেচ্ছাসবকবৃন্দ। বিতরণ করা প্রতিটি প্যাকেটে ছিল বিরিয়ানি, মুরগীর রোস্ট, ডিম ও সালাদ। বিরিয়ানির প্যাকেট পাওয়া নতুন বাবুপাড়ার অসহায় কর্মজীবী হাসনাইন,(৪৫) সায়মুন নেছা (৭০), গার্ডপাড়ার হাসিবুন (৭৬) সহ অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমরা কল্পনাও করিনি এ পরিস্থিতিতে ঈদের তৃতীয় দিনে ভাল কিছু খেতে পাব। তারা বলেন বিরিয়ানির প্যাকেট পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। ওই প্যাকেটে যত খাওয়া রয়েছে তা দিয়ে দুইজন খুব ভাল করে খেতে পারবে। তারা বলেন প্রতিটি পরিবারের সকল সদস্যই খাবার প্যাকেট পেয়েছেন। এতে দুপুরের খাওয়া খেয়েও রাতেও খেতে পেরেছেন তারা।
অসহায় এসব মানুষজন বলেন মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই আশার আলো হয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন আদনান। তিনি সার্বক্ষনিক আমাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তারই কারণে আমরা বিরিয়ানি খেতে পেরেছি। তারা বিতরন করা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আদনান হোসেনের জন্য দোয়া করেন। এ প্রসঙ্গে আজ বৃহস্পতিরার দুপুরে কথা হয় সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্টজন নতুন বাবুপাড়া এলাকার মৃত আকতার হোসেনের পুত্র ইটস্ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আদনান হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস শুরুর পর থেকেই সৈয়দপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও,রাজশাহী ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৬ হাজার পরিবারকে খাবার ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছে। তিনি বলেন দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। আর এসব কাজে সহযোগিতা করছেন ইটস্ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের (আই এইচ এফ) কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা। তিনি যাতে সমাজসেবায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যেতে পারেন সেজন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।