খবর৭১ঃ পাকিস্তানের করাচিতে প্রায় ১০০ আরোহী নিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা পিআইএর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, আরোহীদের সবাই মারা গেছেন।
এয়ারবাস এ ৩২০ মডেলের উড়োজাহাজটি শুক্রবার বিকালে করাচির একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ৷ এ সময় বিমানটিতে শতাধিক আরোহী ছিল বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে৷
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আব্দুল সাত্তার বলেন, বিমানটি করাচিতে বিধ্বস্ত হয়েছে৷ আমরা যাত্রীদের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু প্রাথমিকভাবে (জানা গেছে) এতে ৯০ জন যাত্রী এবং আটজন ক্রু সদস্য ছিলেন৷বিমানটি লাহোর থেকে আসছিল বলে জানান তিনি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দুই থেকে তিনবার জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, জনবহুল এলাকার মধ্যে বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন বহু মানুষ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন উদ্ধারকর্মীরাও। পাক ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাক সেনার কুইক রেসপন্স ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। করাচির সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সে দেশের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে পাকিস্তানে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বাণিজ্যিক বিমান চলাচল। পুনরায় চালুর দুই দিনের মাথায় ঘটল এই দুর্ঘটনা।
২০১০ সালে বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ারব্লু পরিচালিত একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় ইসলামাবাদের কাছে। ওই দুর্ঘটনায় ১৫২ জন যাত্রীর সবাই মারা যায়। সেটি ছিল পাকিস্তানের বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
২০১২ সালে পাকিস্তানের ভোজা এয়ার পরিচালিত বোয়িং ৭৩৭-২০০ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় রাওয়ালপিন্ডিতে অবতরণ করার সময় বিধ্বস্ত হয়। ১২১ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু-র সবাই প্রাণ হারান।
আর ২০১৬ সালে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশানাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল থেকে ইসলামাবাদ যাবার সময় আগুন ধরে যায় ও বিমানটি বিস্ফোরিত হয়ে ৪৭ জন মারা যায়।