খবর৭১ঃ বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। উপকূলীয় অঞ্চলে বিকাল থেকে তীব্র ঝড়ো হাওয়া অনুভব হলেও তা এখন বেশ কমে গেছে। বরং ঝড়ো হাওয়া বেশি বইছে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর অঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে। রাতে ঘূর্ণিঝড়ে শক্তি কমে এলেও সকাল পর্যন্ত থাকবে এই ঝড়ের প্রভাব। এখন পর্যন্ত সারা দেশে ঝড়ের প্রভাবে মারা গেছেন ৬ জন।
জানা গেছে, ভোরে জামালপুর এলাকায় শেষ ঝলক দেখিয়ে বিদায় নিতে পারে আম্ফান। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ঝড়ের কারণে বড় কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোন বাধ ভাঙ্গারও খবর মেলেনি। কিন্তু সমুদ্রের নিকটবর্তী নদীগুলোতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পানির উচ্চতা বাড়ে প্রায় ৭ ফুট।
এই ঘূর্ণিঝড় প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে। ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ির পাশাপাশি ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে গেছে বেশ কিছু পাকা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নবান্ন ভবন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ভবনের প্রায় অর্ধেকাংশ ভেঙ্গে গেছে। বিকেল পর্যন্ত এখানে থেকেই ঝড়ের খোঁজ খবর রাখছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।