আব্দুল আওয়ালঃ ভয়কে জয় করে মদনে সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন মনিরুল হক মাখন। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন এর মধ্যে তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু নমুনা সংগ্রহ নয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ঔষধ সরবরাহ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
মনিরুল হক মাখন নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের কাপাসাটিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক ভিকচাঁন এর ছেলে। তিনি মদন উপজেলার কাপাসাটিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে কয়েক বছর ধরে কর্মরত আছেন। নেত্রকোনা জেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও মদন উপজেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
করোনার নমুনা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথম দিকে তাঁর ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), এমনকি মাস্ক পর্যন্ত ছিল না। তবু পিছু হটেননি তিনি। প্রতিদিন দুপুর দুইটা পর্যন্ত তাঁর কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের কথা। তবে তাঁকে যখনই ডাকা হয়, তিনি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ বা চিকিৎসাসেবায় একটানা সাত দিন নিয়োজিত থাকলে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়। কিন্তু তিনি এ সব উপেক্ষা করে বিরামহীন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, বিপদে আজকাল অনেক মানুষই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান না। আমার বাবা সারা জীবন মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতে বাবার অনুপ্রেরনায় ও উপজেলা স্বাস্থ্য প্রসাশকের নির্দেশনায় দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখতে চাই।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু বলেন, সিএইচসিপি মবিরুল হক মাখন করোনাকালের একজন সাহসী যোদ্ধা। সব ভয়–ভীতি ও দ্বিধা কাটিয়ে তিনি যেভাবে নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছেন, তা প্রশংসনীয়।