সুদীপ্ত শামীম:
সংবাদ প্রকাশের জেরে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া এলাকায় জাগো নিউজ ও বাংলা টিভির সাংবাদিক জাহিদ খন্দকার ও স্থানীয় সাংবাদিক একরামুল হকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় সাংবাদিকদের একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও বাংলাটিভির কাজে ব্যবহারিত একটি হ্যানডি ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, টাকা ও ক্যামেরা রাখার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং হত্যার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ১৭ মে রোববার বিকালে ভুক্তভুগি সাংবাদিক জাগো নিউজের গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
থানায় এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে শনিবার বিকালে জাগো নিউজ-২৪ ডটকমের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জাহিদ খন্দকার ও তার সহযোগী স্থানীয় সংবাদিক একরামুল হককে সাথে নিয়ে সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া গ্রামে বিধবা মহিলার তালিকা প্রণয়ন করে ফেরার পথে মাথরপাড়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমরানের ভাই রেজাইল করিমের দুই ছেলে রুবেল ও সজিব এবং মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজসহ লাঞ্চিত করে। সভাপতি ইমরানের ভাই রেজাইল করিম বলেন, “মাদরাসার নিউজ করার সাহস কইপাইছিস, তোর মতো সাংবাদিককে মেরে ফেললে কিছু হবে না” এই বলেই মারতে শুরু করে এবং একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও বাংলাটিভির কাজে ব্যবহারিত একটি হ্যানডি ক্যামেরা সহ বাংলাটিভির লোগো ও ক্যামেরা রাখার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে তোলে এবং দড়ি ও রামদা বের করে বাধার চেষ্টা করে। জীবনের ভয়ে সাংবাদিকাদ্বয় চিৎকার করলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রানে রক্ষা পায়।
উলেখ্য, চলতি বছরের (১৫ জানুয়ারি ) জাগো নিউজে গাইবান্ধার সাঘাটায় এমপিও ভুক্ত মথরপাড়া দাখিল মাদরাসার “৩৮ জন ছাত্র ১১ জন শিক্ষক” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং মাদরাসাটি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আসে। ফলে মাদরাসার সভাপতি ইমরান ও সুপার শহিদুল ইসলাম মাদরাসার কার্যক্রম নিয়ে জবাবদিহিতায় পরে এর জেরেই সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেনের সাথে কথা হলে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি দু:খজনক। এ বিষয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।