রেদোয়ান হোসেন জনিঃ
ঈদের আনন্দ যাদের ছুঁতে পারেনা এমন দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বরাবরের মত ত্রাণ বিতরণ করল মিরসরাইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা শান্তিনীড়। গত শুক্রবার (১৫ মে) থেকে শুরু হওয়া ১০ম শান্তিনীড় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আজ (রবিবার) পর্যন্ত ১ম ধাপে ৩৫০ পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেয় সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা।
শান্তিনীড়ের সদস্যবৃন্দ কর্তৃক তালিকাকৃত মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত, কর্মহীন ও অসহায়দের ঘরে ঘরে এ খাবার পৌঁছে দেয়া হয়।
সংস্থার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন সোহেল জানান, শান্তিনীড়’র নিয়মিত কার্যক্রমের একটা অংশ সমাজের দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদের পূর্বে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম যা বিগত ১০ বছর যাবত চলমান। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছরের কার্যক্রম অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারও ইনশাল্লাহ আমরা দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এতে শান্তিনীড়ের সদস্য, উপদেষ্টামন্ডলী, পৃষ্ঠপোষক, আজীবন সদস্য এবং শুভানুধ্যায়ীদের মাধ্যমে ফাণ্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ২য় ধাপে আমরা প্রতিবন্ধীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতাই পারে সমাজের দুস্থ পরিবারগুলোর এ দুর্দিনে কষ্ট লাঘব করা। আমরা রাঙিয়ে দিতে চাই দুস্থ কিছু পরিবারের ঈদ। সবাইকে নিয়ে হোক করোনা পরবর্তী সুন্দর আগামী। আসুন আমরা শান্তিনীড় পরিবারের সবাই যার যার সামর্থ অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে কিছু দুস্থ পরিবারের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসি।
সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব ব্যস্থাপনায় খাদ্য সামগ্রী প্যাকেজিং ও বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন সহ-সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সবুজ সেন, সদস্য মো: আজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, ইয়াছিন শরীফ, ইসমাইল হোসেন খোকন, আবু সাইদ, শায়েস্তা খান পিয়ান, মুসাফির হামিদ, মাহবুব রাব্বি, জাহেদ রাহেন, সাগর, আজিজ, নোমান, অনিক, তোফাজ্জল, আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শান্তিনীড় কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২৫ মার্চ থেকে ক্লিফটন গ্রুপের সৌজন্যে নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করে। জনসাধারণকে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পাড়া মহল্লায় সচেতনতামূলক লিপলেট বিতরণ করে। পরবর্তীতে ৯এপ্রিল ও ১৯ এপ্রিল শান্তিনীড় ও লায়ন্স ক্লাব অব চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ের উদ্যোগে ডাক্তার, সাংবাদিক, পুলিশ, হাসপাতাল ও পল্লী চিকিৎসকদের মাঝে পিপিই বিতরণ করে।