খবর৭১ঃ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮৩ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা পুরুষ ১১ জন এবং তিনজন নারী। মৃত্যুবরণকারীদের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।
নতুন যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এঁরা ঢাকার ভেতর ৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে পাঁচজন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ৮৩৭টি। এর মধ্যে ঢাকার ভেতর চার হাজার ৯৫৬টি এবং ঢাকার বাইরে দুই হাজার ৮৮১টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ৩৯২টি। এর মধ্যে ঢাকার ভেতর চার হাজার ৫৮৮টি আর ঢাকার বাইরে দুই হাজার ৮০৪টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ৪১ জনকে।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ৯৩০টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ২০১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬ জন। বর্তমানে আইসোলেনশনে আছেন দুই হাজার ৫৭০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩৯৮ জন।
জানানো হয়, সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা আট হাজার ৬৩৪টি। ঢাকা মহানগরীতে দুই হাজার ৯০০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৭৩৪টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫০০টি ও ময়মনসিংহ নার্সিং ডরমিটরিতে আরো ২০০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুতির কাজ চলছে। এর বাইরেও হাসপাতাল প্রস্তুতির কাজ চলছে।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৩১ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৯৮ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ১৪ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর‘র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৫১ হাজার ৫০২টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৫৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো আটজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৪১ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ৭৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়।