খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যে ১০ দিন কাজ করলেই এক মাসের বেতন পাবেন ব্যাংকাররা। তবে ব্যাংকের প্রয়োজনে ১০ দিনের বেশি কাজ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য প্রতিদিন ৭০০ টাকা যাতায়াত ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশানা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাধারণ ছুটিকালীন কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১০ কার্যদিবসের অধিক স্ব-শরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলেও তিনি এক মাসের সমপরিমাণ বিশেষ প্রণোদনা ভাতার অধিক প্রাপ্য হবেন না। তবে ব্যাংকের প্রয়োজনে ১০ দিনের বেশি স্ব-শরীরে অফিস করলে অতিরিক্ত প্রত্যেক দিনের জন্য ৭০০ টাকা যাতায়াত ভাতা প্রাপ্য হবেন।
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখতে যারা নিজের জীবন এবং পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা এবং বিশেষ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পদমর্যাদার ভিত্তিতে তাদেরকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে সে অর্থ পরিশোধ করবে ব্যাংক। পাশাপাশি তার সার্বিক চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে।
সাধারণ ছুটির সময় দায়িত্ব পালনের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীর মৃত্যু ঘটলে বিশেষ স্বাস্থ্য বীমার জন্য নির্ধারিত অংকের ৫ গুণ বিশেষ অনুদান হিসেবে তার পরিবারকে প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক তার অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে বিশেষ অনুদান সমন্বয় করতে পারবে না।
এছাড়াও ব্যাংকের বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় অন্যান্য ভাতা ও সুযোগ সুবিধা যথানিয়মে প্রদান করতে হবে। সাধারণ ছুটিকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের সময় কিংবা দায়িত্ব পালনের সময় অন্য যে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে তার চিকিৎসার প্রকৃত ব্যয় বহন করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।