ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ করোনার বৈশ্যিক মহামারীর মাঝেই ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরে জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, খনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আলী ডাবলু ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে কোন রমক নোটিশ ছাড়াই ইচ্ছামত নিজের পছন্দনীয় মানুষদের ত্রাণ দিয়েছেন। ওই ইউপি সদস্যরা এলাকার শ্রমিক ও কর্মহীনদের ত্রান দেওয়ার প্রস্তাব দিলে সদস্যদের চেয়ারম্যান অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে রুম থেকে বের করে দেন।
এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের যে কোন কাজ সম্বন্ধে ইউপি সদস্যরা জানতে চাইলে এলাকার বখাটেদের দিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখানো হয়। পরিষদের মিটিংয়ে মহিলা সদস্যদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে মুখের ভাষা খারাপ করে গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান।
এছাড়াও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গম ক্রয়ের লটারীতে স্বেচ্ছাচারিতা, ট্রেড লাইসেন্স, এডিপি কার্যক্রমের প্রকল্পের অর্থ লোপাট, সরকারি টাকা আত্মসাত, দিঘি, হোল্ডিং ট্যাক্স, কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ লোপাটের অভিযোগও করে ইউপি সদস্যরা।
উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আলী ডাবলু জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে যে অভিযোগ প্রদান করা হয়েছিল তা খারিজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যরা সরকারি কার্ড, ঘর নির্মাণ, মাটি কাটার কাজের কথা বলে অনেক মানুষের কাছ থেকে অর্থ গ্রহন করেছেন। তার প্রতিবাদ করার জন্য তারা যোগসাজসে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের ১০ জন ইউপি সদস্য একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।