খবর৭১ঃ
দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন। আর সারাদেশে এই রোগীর সংখ্যা ১০১৪৩ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ১৮২ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৪৭ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ১২০৯ জন।
সোমবার ( ৪ মে) নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩১৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ৬ হাজার ২৬০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮৭ হাজার ৬৯৪টি।
তিনি আরও বলেন, মৃত ৫ জনের সবাই পুরুষ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৩ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন ঢাকার, একজন সিলেট ও একজন ময়মনসিংহের।
আইইডিসিআর এর তথ্য মতে দেশের বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো—ঢাকা ৪,৮৯৫, নারায়ণগঞ্জ ১,০২১, গাজীপুর ৩২৫, কিশোরগঞ্জ ২০২, ময়মনসিংহ ১৬৬, নরসিংদী ১৫৪, মুন্সীগঞ্জ ১২৭, কুমিল্লা ১০৫, চট্টগ্রাম ৮২, জামালপুর ৭৩, হবিগঞ্জ ৬৯, যশোর ৬৩, রংপুর ৬২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৫, নেত্রকোনা ৫১, মাদারীপুর ৪৭, গোপালগঞ্জ ৪৭, লক্ষ্মীপুর ৪৩, বরিশাল ৪১, শরীয়তপুর ৪০, কক্সবাজার ৩৭, বরগুনা ৩৬, সুনামগঞ্জ ৩৩, জয়পুরহাট ৩৩, টাঙ্গাইল ৩০, পটুয়াখালী ২৮, শেরপুর ২৬, গাইবান্ধা ২৩, নীলফামারী ২৩, মানিকগঞ্জ ২২, কুড়িগ্রাম ২২, রাজশাহী ২১, দিনাজপুর ২০, মৌলভীবাজার ১৯, রাজবাড়ী ১৯, ঠাকুরগাঁও ১৯, বগুড়া ১৯, ঝিনাইদহ ১৯, সিলেট ১৮, নোয়াখালী ১৭, খুলনা ১৬, নওগাঁ ১৬, কুষ্টিয়া ১৬, চাঁদপুর ১৫, ফরিদপুর ১৪, নড়াইল ১৩, পাবনা ১১, ঝালকাঠী ১০, পিরোজপুর ১০, চুয়াডাঙা ৯, নাটোর ৯, পঞ্চগড় ৮, মাগুরা ৮, বান্দরবান ৭, ফেনী ৬, ভোলা ৫, সিরাজগঞ্জ ৪, লালমনিরহাট ৩, বাগেরহাট ২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২, মেহেরপুর ২, সাতক্ষীরা ২ ও খাগড়াছড়ি ২ জন।
উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।