খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসে সংক্রমণের চিকিৎসার গতি বাড়াতে দ্রুত দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আজ বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় এই নিয়োগের চূড়া্ন্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। পিএসসির একাধিক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
করনার চিকিৎসাসেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে এই চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়।
স্থাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায়। পিএসসিও দ্রুত কাজ শুরু করে। চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে নতুন চিকিৎসক নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় চিঠি দেয়।
এ ছাড়া সরকার যে ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়ার কথা বলছে, এর দায়িত্বও পিএসসিকে দিয়েছে। পিএসসি জানায়, ২০১৮ সালের নার্স নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই তালিকাও আজ প্রকাশ করা হবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিতে গেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, কয়েক দফা পরীক্ষা নিতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ। সেই অবস্থাও এখন নেই। এই বিশেষ সংকটে জাতীয় স্বার্থে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধার ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নার্স নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের কাজ শুরু করি। সরকারের ইচ্ছা অনুসারে এ বিষয়ে দ্রুত কাজ শেষ করা হয়।’
করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় চিকিৎসক সংকটের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নতুন দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, বেশ কিছু হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করি এবং তাঁদের সুস্থতা কামনা করি। এ অবস্থায় যেহেতু নতুন নতুন হাসপাতাল করোনার সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত করছি এবং বেশ কিছু চিকিৎসককে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন দুই হাজার চিকিৎসক এবং ছয় হাজার নার্স আমরা নিয়োগের ব্যবস্থা করছি। আশা করি, এই নিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরও জোরদার হবে।’ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনের বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।