খবর৭১ঃ
দেশে এ পর্যন্ত ৪৩৬ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন (প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঈন উদ্দিন)-এর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস্ সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিস্ (এফডিএসআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ডা. শাহেদ ইমরান বলেন, এখন পযন্ত দেশে ৪৩৬ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা এ পর্যন্ত ৩৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া বরিশালে ৯ জন, চট্রগ্রাম ১৭ জন, সিলেটে ৭ জন, খুলনায় ১৪ জন, রংপুরে ৫ জন, ময়মনসিংহে ৪৭ জন ও রাজশাহীতে ১ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের আট চিকিৎসকসহ ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানকার ১৫ চিকিৎসক ও ৩৭ নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছেন।
এর আগে সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল জানিয়ে ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজল কুমার কর্মকার গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার আরও একজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে ১০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন বলে জানান তিনি।
ডা. কাজল কুমার বলেন, ওই ১০ রোগীর মধ্যে একটি শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের করোনাভাইরাস চিকিৎসার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আট চিকিৎসক ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জন নার্স, দুজন ওয়ার্ড মাস্টার, তিন ওয়ার্ড বয় এবং একজন আনসার সদস্য রয়েছেন।
গত বুধবার এ হাসপাতালের এক রোগীর দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর তার সেবায় থাকা ডাক্তারসহ অন্যদের নমুনা পরীক্ষা করতে দেয়া হয়। এরই মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন রোগীর উপসর্গ দেখে পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
সব মিলিয়ে ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডা. কাজল বলেন, তাদের মধ্যে ১৫ জন চিকিৎসক এবং ৩৭ নার্স হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন বলেন, এসব রোগী হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাদের সেবা দিতে গিয়ে ডাক্তার-নার্সসহ অন্যরা আক্রান্ত হন।
প্রসঙ্গত, দেশে ৬ হাজার ৪৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের।