আব্দুল আওয়ালঃ চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। সরকারের পক্ষ থেকে দেশের যে কোনা দূর্যোগ মূর্হুতে অথবা মাহে রমাজান মাসকে সামনে রেখে দেশের নিন্ম আয়ের মানুষের ক্ষমতার মধ্যে খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি)র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কথা থাকলের গত ৫ বছর ধরে সরকার নির্ধারিত এসব মাল খোলা বাজারে বিক্রি হয় না নেত্রকোনার মদন উপজেলায়। ফলে হাওরাঞ্চল অধ্বুশিত মদন উপজেলার মানুষ সরকারের এই বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বছরের পর বছর। আর উপজেলা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে কোন চিঠি না আসায় পরিবেশকের বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নেন না তারা।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান মাসসহ দেশের বিশেষ মুর্হুত ছাড়াও সারা বছর বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিন্ম আয়ের মানুষ যাতে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কম মূল্যে ক্রয় করতে পারে সেজন্য ডিলার নিয়োগ করে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলার মদন উপজেলায় ২০১০ সালে সরকারী টিসিবির পরিবেশক হিসেবে নিয়োগ পান উপজেলার মিনাল কান্তি ট্রেডার্স। কিন্তু তিনি ডিলার নিয়োগ হওয়ার পর কয়েকবার মাল উত্তোলন করার পর তার বন্ধ করে দেন। এতে এসব অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ সরকারী সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দিনকে দিন। (টিসিবি) ময়মনসিংহ অফিস সূত্রে জানাযায়, ময়মনসিংহে প্রতিজন ডিলারের জন্য ৭ মেঃটন মালামাল বরাদ্ধ আছে। এর মধ্যে তেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল সরকারী দেয়া মূল্যানুযায়ী বিক্রি করার কথা। কিন্তু মদনের ডিলার মিনাল কান্তি বিগত ৫ বছর ধরেই মালামাল যথা সময়ে উত্তোলন করছেন না।
উপজেলার বাগজান গ্রামের কৃষক, ইমরান মিয়া, তিয়শ্রী গ্রামের মহসিন মিয়া গোবিন্দশ্রী গ্রামের নুরুল আলম কামাল বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই মদনে টিসিবি পণ্য দেয়া হয় না। বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি এ সময়ে যদি টিসিবির পণ্য বাজারে থাকতো তবে সাধারণ মানুষের কিছুটা হলেও উপকার হতো। টিসিবির পন্য না থাকায় বাজার থেকে চড়া মূল্যে দিয়ে মালামাল ত্রয় করতে হচ্ছে। আর দেশের যে পরিস্থিতি এতে করে যদি টিসিবির মাল দিতো তাহলে সাধারণ মানুষ তেল, ডাল,চিনি কিনে অন্তত্য জীবন বাঁচাতে পারতো।
টিসিবির পন্য কেন খোলা বাজারে বিক্রি করেন না ডিলার মিনাল কান্তি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর খোলা বাজারে ট্রাকে মাল ক্রয়ের কথা বলার হয়েছে তাতে অনেক ব্যায় তাই মাল উত্তোলন করিনি। এছাড়াও লোকবল নেই খরচ বেশি তাই মাল বিক্রি করি না।তবুও দেখি চেষ্ঠা করে বিক্রি করা যায় কিনা। তিনি কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মাল উত্তোলন করতে পারছেন না বলেও জানান।
টিসিবির মালামাল বিক্রির তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, আমাকে জেনে জানাতে হবে কে ডিলার। এছাড়াও এ বিষয়ে কোনো চিঠিও পাইনি।