আব্দুল আওয়ালঃ নেত্রকোনার মদনের হাওড়বেষ্টিত ৫নং মাঘান ইউনিয়ন। উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম শামসুল আলম চৌধুরী কায়কোবাদ কোভিড-19 করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে আজ পযর্ন্ত নিজ এলাকায় আসে নি, বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকার জনগণ । ইউপি সচিব জালাল খান, তার হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসেন না। এমনকি এই বিশ্ব মহামারি করোনায় জনগণের পাশে নেই তিনি । যেখানে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে অসহায় হতদরিদ্রদের তালিকা প্রস্তুত করে চেয়ারম্যান তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিবেন। কিন্তু তিনি ইউপি সচিবের নিকট দায়িত্ব দিয়ে, নিজ দায়িত্বকে আড়াল করে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আমরা এই সময়ে চেয়ারম্যানকে পাশে পাচ্ছি না। উনি বেশি একটা ইউনিয়নে আসেন না। তিনি জেলা সদরে বসবাস করেন এবং উকালতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ইউপি সচিবকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ইউপি সদস্য পুতুল মিয়া জানান, চেয়ারম্যান সাহেব এই সময়ে এলাকায় থাকা উচিত ছিল। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর কয়েক বার এলাকায় এসেছিলেন। আমার ও সচিবের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। সঠিকভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার জন্য।আমরা সে দায়িত্ব পালন করছি।
জন্ম নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র কে, স্বাক্ষর করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউপি সদস্য বলেন, সচিবেই চেয়ারম্যানকে ফোন করে স্বাক্ষর করেন। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে।
ইউপি সচিব জালাল খান জানান, উনি করোনার মহামারির ৫টি বিলের মধ্যে কোন বিল আজ পর্যন্ত বিতরণ করেননি । আমি নিজেই ইউপি সদস্যদের নিয়ে বিল বিতরণ করে আসতেছি।
ট্যাগ অফিসার জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারি প্রকৌশলী রনি রায়হান জানান, চেয়ারম্যান সাহেবকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় পাই না। তবে ইউনিয়ন সচিব ও সদস্যদের সহযোগিতায় করোনার ত্রাণ বিতরণ করছি। চেয়ারম্যান সাহেবকে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেন না।
উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান করোনার ত্রাণে ডিও সচিবের মাধ্যমে খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন, বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমি দুটি বিল নিজে বিতরণ করেছি। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য, মাঝে মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন, উনি এলাকায় খুব কম যান। এ ব্যাপারে বার বার বলা হয়েছে। করোনার বিষয়ে স্থানীয় সরকারের নির্দেশনার চিঠিও অবগত করা হয়েছে।