আশিক তাজ:
বৈশ্বিক মহামারী করোনাতে বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশ যখন করোনায় আক্রান্ত, সারাদেশের মানুষ যখন ঘরবন্দি, অনেক বিত্তবান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে স্বেচ্ছায় ঘরে অবস্থান করছেন, সেখানে ব্যতিক্রম দেখা যায় কুমিল্লার দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে। নিজের ব্যক্তিগত সহকারী ও গাড়িচালককে সুরক্ষায় রেখে নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে বারবার নির্বাচনী এলাকার খোঁজ নিতে চলে আসেন।
ইতোমধ্যে করোনা সংকট ও পবিত্র রমজান উপলক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১কোটি ২০লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খোঁজ খবর নিচ্ছেন নির্বাচনী এলাকার কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষদের। কোনো মানুষ যেন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে বরাবর নির্দেশ দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের। বলছেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ঘরে খাদ্য পৌছে দিতে, একটি পরিবারও যেন খাদ্য সহায়তা থেকে বাদ না পড়ে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের সাথেও সমন্বয় করছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন।
এছাড়াও গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পৌরসভার কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা করেছেন। তখনও তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে এলাকায় আসেন। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না জানিয়ে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক করেন।
সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীরা বলছেন, এমপি মহোদয় সাধারণ মানুষের কথা ভেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এলাকায় চলে এসেছেন। নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করলেও সুরক্ষায় রেখেছেন ব্যক্তিগত সহকারী ও গাড়িচালককে। তাই তাদেরকে সাথেও নিয়ে আসেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল প্রশাসনের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন। তিনি উপজেলায় ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারিভাবে খাদ্যের দিকে না তাকিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এটি একটি বিরল মানবিক দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে রাজী ফখরুল জানান, ‘সাধারণ মানুষের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাদের দেখাশুনা করা, খোঁজ খবর নেওয়া আমার দায়িত্ব। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার কোন মানুষকেই খাদ্যের অভাবে থাকতে দিব না।’