ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করলার চা

0
860
ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করলার চা

খবর৭১ঃ করলা অনেকে প্রিয় খাদ্য আবার অনেকে তিতা স্বাদের কারণে পছন্দ করেন না। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। বিভিন্ন স্মুদি ও সবজির জুসের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য করলা মেশানো হয়ে থাকে। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভার পরিষ্কার করে, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। করলার উপকারিতা লাভের আরও একটি উপায় হল করলার চা পান করা।

করলার চায়ের পুষ্টিগুণ:

শুকনো করলার টুকরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে এই চা তৈরি হয় এবং ওষুধ হিসেবে বিক্রি হয়। এটি গুঁড়ো বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়। এই চা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়। এর কয়েকটি পুষ্টিগুণ হলো-

রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চাও এতে উপযোগী।

রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে

এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

লিভার পরিষ্কার রাখে

লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে ফলে বদহজম রোধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে

এই চায়ে উপস্থিত ভিটামিন সি কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে

করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে।

করলার চা তৈরির পদ্ধতি

কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলার টুকরো, পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়, তবে করলা সহজলভ্য তাই করলা ব্যবহার করুন। পানি ফুটিয়ে নিন, তার মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য পানিতে মিশে যায়। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here