রাজিব আহমেদ, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা ফেরত এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার মরদেহটির দাফন সম্পন্ন করেন স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সমন্বয়ে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে জানাজার পরে এই দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত জুলমত আলী (৪৫) কাশিনাথপুর গ্রামের আজগর ফকিরের ছেলে। তিনি ভালুকাতে গামেন্টস শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টসে কর্মরত জুলমতের মৃত্যু হলে তার মরদেহ এলাকায় নিয়ে আসার পর করোনা আতঙ্কে কেওই তার মরদেহ দাফনকাজ সম্পন্ন করতে রাজী না হওয়ায় মরদেহ দাফনের দায়িত্ব নেয় ছাত্রলীগ।
শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ রাসেল শেখ এর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াদ, নিয়ন, আশরাফুল, রাকিব, ছাত্রনেতা সুমন, কাইফ আহমেদ সজিব, ছাত্রনেতা মিঠুন, পারভেজ ও কায়েমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বিপুল এর সার্বিক তত্বাবধানে কবর খোড়া সহ কাফনের কাপড় সংগ্রহ, জানাজা ও দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।
মরদেহের জানাজা নামাজ পড়ান স্থানীয় ঈমাম মনোয়ার হোসেন সাব্বির। উল্লেখ্য যে, তার মৃত্যু করোনা তে হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হবার জন্য মরদেহের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এবিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ রাসেল শেখ বলেন, এর আগেও আমরা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহযোগিতায় এমন একটি করোনা সন্দেহজনক মরদেহের দাফন সম্পন্ন করেছি। আজও ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর সহযোগিতায় আরেকটি মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন করলাম।
এসময় তিনি আরও বলেন, মরদেহটি গতকাল ভালুকা থেকে আসে। যেহেতু করোনা হতে পারে সন্দেহ করা হয় তাই উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তক্রমে খুবই সতর্কতার সাথে মরদেহটি দাফন করা হয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাফনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদও জানান এই ছাত্রনেতা।