খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মসজিদে তারাবির নামাজ চালু থাকবে, তবে তাতে জনসাধারণ অংশ নিতে পারবেন না। দুজন হাফেজ ছাড়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। এর বেশি মুসল্লির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি সবাইকে ঘরে তারাবি পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের মসজিদগুলো পুনরায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনো মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। যতদিন ঝুঁকিমুক্ত না হবে ততদিন মসজিদে বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে।
তারাবির ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সীমিত আকারে দেশের মসজিদগুলোতে তারাবি চালু থাকবে। প্রত্যেক মুসল্লি ঘর থেকে অজু করে আসবেন। অসুস্থ বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করবেন। তারাবিতে সর্বোচ্চ ১২ জন মুসল্লি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসুল্লি ও দুজন হাফেজসহ মোট ১২ জনের অংশগ্রহণে রমজান মাসে মসজিদসমূহে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকবে। এর সঙ্গে ইতিপূর্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত মসজিদে জুমা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
এছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নামে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত নির্দেশনাসহ শুক্রবার একটি সার্কুলার জারি করবে বলেও জানানো হয়।
দেশে করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের মসজিদগুলোকে মুসল্লি সংখ্যা সীমিত করা হয়। মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সমন্বয়ে পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে এবং জুমার জামাতে ১০ জন করে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।
এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে সাতজন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। আর একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ১৮৬ জন।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বাড়ানো হয়েছে সাধারণ ছুটির মেয়াদ। বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।