শেরপুর থেকে আবু হানিফ:
নিজের সঞ্চিত ১০ হাজার টাকা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের হাতে’ করোনা ভাইরাস ক্ষতিগ্রস্থ অসহায়, কর্মহীন ঘরে থাকা মানুষের খাদ্য সহায়তা তহবিলে দান করা দানবীর ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন (৮০)কে সম্বর্ধনা দিয়েছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি দেখেছেন। তিনি খুব খুশি হয়েছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ওনার ঘর নির্মান করে দেয়াসহ তার পরিবারের ব্যয় চালানোর জন্য একটি দোকান করে দেয়া এবং চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়াও তার পরিবারের অন্যান্য সমস্যাও সমাধান করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা যখন হতাশ হয়ে যাই, তখনই এধরনের লোকগুলো আমাদেরকে সাহস দেয়। কাজেই আমরা এঘটনা থেকে সাহস পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এহছানুল হক মামুন, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ, শেরপুর প্রেসকাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামের মৃত ইয়ার আলীর ছেলে ভিুক নাজিমুদ্দিন (৮০) দীর্ঘদিনের তার সঞ্চিত দশ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদের হাতে তুলে দেন। এরপর থেকে সারাদেশে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব কথা বলেন, শেরপুরের জেলা ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে। এসময় তিনি ওই দানবীর ভিক্ষুকের ঘর নির্মানসহ সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন।
ভিুক নাজিমুদ্দিন জানান, ভিা ভিত্তি করে তার সংসার চলে। তার ৩ ছেলে ৩ মেয়ে রয়েছে। ভিা ভিত্তি করে সংসার চালিয়ে গত ২ বছরে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছেন তিনি। বর্তমান দেশের করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদেরকে দান করার জন্য তার জমানো ১০ হাজার টাকা ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও’র) স্যারের করোনা তহবিলে জমা দিলাম। এসময় তিনি আরো বলেন আজকে যেভাবে তাকে সম্বর্ধনা করা হয়েছে এজন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের প্রতি খুব খুশি হয়েছেন।