খবর৭১ঃ
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বারবার পরীক্ষার আহ্বান জানালেও বাস্তবে দেখা গেছে মানুষের আগ্রহের তুলনায় পরীক্ষা করা হয়েছে অনেক কম। করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে যাদের পরীক্ষার হার কম এর শীর্ষ তালিকায় আছে বাংলাদেশের নাম।
দেশের হটলাইন নম্বরগুলো এখন পর্যন্ত মোট টেলিফোন করা হয়েছে ২৯ লাখ ১৩ হাজারের বেশি। মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন আরও ১৩ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে ৪২ লাখের বেশি বার যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজারেরও কম মানুষকে।
যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলনে বেশি বেশি পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, যোগাযোগ করেছে ৪২ লাখের বেশি মানুষ। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৭৮ জনের। আর এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৩৮২ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৩৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯৭৪ জনের নমুনা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৮২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আরও নয় জন মারা গেছেন। এখন মৃতের সরকারি সংখ্যা ১১০ জন।
সর্বশেষ যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, চারজন নারী।
সর্বশেষ যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব তিনজন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৩, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সের মধ্য আছেন তিনজন। এ পর্যন্ত ৮৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার সংস্থাটি প্রকাশিত সর্বশেষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধবিষয়ক কৌশলপত্রে বলেছে, এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো টিকা বা সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত রোগী শনাক্ত করা এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেলে এই ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে। তাই সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করতে দেশগুলোকে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশেও করোনা পরীক্ষার পরিধি বাড়াচ্ছে। আগে শুধু ঢাকায় স্বল্প পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হচ্ছে।
তবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও এগুলোর পুরো সক্ষমতা ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মাঠপর্যায়ে যারা নমুনা সংগ্রহ করছেন, তারা যথেষ্ট প্রশিক্ষিত নন। ফলে পর্যাপ্ত নমুনা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ না করায় নমুনা নষ্টও হয়ে যাচ্ছে।