খবর৭১ঃ ব্রিটেনে আগামী সপ্তাহে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী টিকা মানুষের ওপর পরীক্ষা করা শুরু হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ওপরে কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ করে আশার আলো দেখে বিজ্ঞানীরা হিউম্যান ট্রায়ালের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি মেইল’কে একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন যে, প্রথম পর্যায়ে ১৮-৫৫ বছর বয়সি ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবী আগামী সপ্তাহে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে সম্মত হয়েছেন। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যাপারে এতটাই আশাবাদী যে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই টিকার সাহায্যে লাখ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবে বলে তাদের বিশ্বাস।
প্রফেসর অ্যাড্রিয়ান হিল ও তার সহযোগী বিজ্ঞানীরা শিম্পাঞ্জির শরীরে পরীক্ষা চালিয়েছেন। শিম্পাঞ্জির শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পেয়েছেন। এই টিকায় মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি হবে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল আশাবাদী।
করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা—ডব্লিউএইচও জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০টি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিয়ে কাজ চলছে। অক্সফোর্ডের গবেষণা তার মধ্যে একটি।
হিউম্যান ট্রায়ালই প্রমাণ করে দেবে যে, এই টিকা মানুষের শরীরের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ কি না, এই প্রসঙ্গে অ্যাড্রিয়ান হিল বিবিসিকে এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন যে, নতুন ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে উত্পাদনের জন্য বিভিন্ন ফার্মা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলবেন। ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের ক্লিনিক্যাল টিম ও জেনার ইনস্টিটিউট যৌথভাবে সেপ্টেম্বর মাসে এই টিকা তৈরি করতে সমর্থ হবে।
গত সপ্তাহে অক্সফোর্ডের এই গবেষক দলের পক্ষে ভ্যাক্সিনোলজিস্ট সারা গিলবার্ট দাবি করেছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই তারা করোনা ভাইরাসের টিকা আনতে সমর্থ হবেন। সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল প্রফেসর হিলের মুখেও। যদিও এখনো পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ করতে কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগে।