খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে ম্যালেরিয়াবিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দিচ্ছে ভারত।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যার্লিফোনিয়া ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ফেডারেল জানায়, ভারত ইতিমধ্যেই জীবন রক্ষাকারী এ ওষুধ প্রতিবেশী দেশগুলোকে উপহার হিসেবে দিতে শুরু করেছে।এ ওষুধের চালান নিয়ে ইতিমধ্যেই বিমান উড্ডয়ন করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভারতের দক্ষিণ ব্লক জানায়, ১০ টন ওষুধ নিয়ে মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান শ্রীলংকা পাঠানো হয়েছে; ভুটান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, সেশেলেস, মরিশাস এবং কিছু আফ্রিকার দেশ ভারতের এ ওষুধ পাবে।
এ ছাড়া প্যারসিটামল ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ভারতীয় ফার্মাসিউক্যালস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ব্রাজিল, বাহরাইন ও জামার্নির কাছে এ ওষুধ রফতানিতে ভারত সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে।
এর আগে ভারত সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর কথা বলে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ব্যথা উপশমকারী প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাখোশ হয়ে ভারতের সমালোচনা করেন। এর পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখেই ভারত ম্যালেরিয়াবিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারত সবচেয়ে বেশি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি করে থাকে।
ট্রাম্পের হুমকির পরেই গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ভারত সব সময়েই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে মানবতার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, ভারত প্যারাসিটামল ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ যথাযথ পরিমাণে আমাদের প্রতিটি প্রতিবেশী দেশকে সরবরাহ করবে। যে সব দেশ করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও আমরা এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব।’