খবর৭১ঃ সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেই ফাঁসি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে এক ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী এই কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, মাজেদ বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাক্ষ্য প্রমাণে বিচারিক ও আপিল আদালতে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (মাজেদ) কারাগারে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারেন কি-না, এমন প্রশ্ন আমার কাছে এসেছে। আব্দুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়। আব্দুল মাজেদকে সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হবে। এ হিসেবে তিনি করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করবেন না।
আবদুল মাজেদকে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর আলোচিত এই খুনি ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। তিনি গত ১৬ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন। তাকে আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আরও কয়েকজন খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসার পর মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন জিয়া। সে সময় উপসচিব পদমর্যাদায় তিনি চাকরি করেন। আর সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। পরে তিনি সচিব পদে পদোন্নতি পান। পরে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক পদে যোগদান করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে। সে সময় আত্মগোপনে চলে যান মাজেদ।
মাজেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।